Saturday, June 23, 2018

আপনি দ্বীন কায়েম করতে চান?

আপনি দ্বীন কায়েম করতে চান?

আপনি দ্বীন কায়েম করতে চান?
=========================
আপনি দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ইসলামকে বিজয়ী দেখতে চান?
তাহলে কোরআনের এই আয়াতটি অনুধাবনের চেষ্টা করুন।
-আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনবে ও সৎ কাজ করবে তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে ঠিক তেমনিভাবে খিলাফত দান করবেন যেমন তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন, তাদের জন্য তাদের দীনকে মজবুত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করে দেবেন, যাকে আল্লাহ তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের (বর্তমান) ভয়-ভীতির অবস্থাকে নিরাপত্তায় পরিবর্তিত করে দেবেন৷ তারা শুধু আমার বন্দেগী করুক এবং আমার সাথে কাউকে যেন শরীক না করে৷ আর যারা এরপর কুফরী করবে তারাই ফাসেক৷[সূরা নুর ৫৫]
.
আমরা দেখি যে, উপরোক্ত আয়াতে খিলাফতের জন্য আল্লাহ ওয়াদা করেছেন এবং এর জন্য শর্ত দিয়েছেন ২টি:
১। ইমান আনয়ন এবং
২। নেক আমল। 
মহান আল্লাহ আরও ২টি শর্ত দিয়েছেন, তা হলো:
১। শিরিক করা যাবে না।
২। কুফুরী করা যাবে না।
.
এখন আপনি চিন্তা করুন, তামাম পৃথিবীর বিখ্যাত সব আলেমরা কোরআনের কয়েক ডজন আয়াত দিয়ে গণতন্ত্রকে হারাম প্রমান করেছেন। ভাবতেই কষ্ট হয় আপনারা সেই হারামকে আকড়ে ধরেই খিলাফত কায়েম করতে চাচ্ছেন?
.
আপনারা ইসলামী আন্দোলনের নামে করছেন ইসলামী রাজনীতি। আপনাদের ‘ইসলামী রাজনীতি’র মধ্যে শুধু ‘রাজনীতি’ আছে, ‘ইসলাম’ নাই। তাইতো গণতন্ত্রের মতো কুফুরী মতবাদকে সমর্থন করে এর মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চান। অথচ উপরোক্ত আয়াতে বলা হয়েছে কুফরী করা যাবে না, কুফুরী করলেই আপনি ফাসেক হবেন।
.
গণতন্ত্রের পথে আছে হরতাল-অবরোধ; আর মুসলীম হয়ে অপর মুসলীমের চলাচলে বাঁধা প্রদান করা,গাড়ীতে অগ্নি-সংযোজন করা, ভাংচুর, ইট-পাটকেল, মারামারি ইত্যাদি তো আছেই। ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য এই সব ধর্মবিরোধী কাজ আপনি করেন কি করে?
.
আপনারা মনে করেন যে শাসন ক্ষমতায় না গেলে কোন ক্রমেই ইসলাম ধর্মকে মানুষের মাঝে পৌছানো সম্ভব নয়; অতএব আপনার ক্ষমতায় আসন পাওয়ার জন্য এতটাই লালায়িত যে, ঐ পথ পাওয়ার জন্য হালাল-হারাম, ভাল-মন্দ কিছুই বিচার বিবেচনা করেন না। মনে রাখবেন আগামী ১০০০ বছরেও যদি বাংলাদেশে ইসলামী খিলাফত কায়েম না হয়, তবে আপনি জাহান্নামে যাবেন, এমন কথা কোরআন বা হাদীসের কোথায়ও নাই। কিন্তু আজ যদি আপনার মৃত্যূ হয় শিরককারী হিসাবে বা ধর্মের মধ্যে বিদ’আতী আমলকারী হিসাবে, তবে আপনি জাহান্নমী, নিশ্চিত জাহান্নামী, অবধারিতভাবে জাহান্নামী! আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ﷺ বলেছেন আপনি জাহান্নামী, অতএব আপনি জাহান্নামী-ই হবেন।
.
সুতরাং আসুন বিশুদ্ধ তাওহীদের বানী সবার মাঝে প্রচার করি এবং বিদ’আতমুক্ত নেক আমল করার চেষ্টা করি। এভাবেই হয়তো এদেশে একদিন খিলাফত প্রতিষ্ঠা হবে, ইন-শা-আল্লাহ!

No comments:

Post a Comment

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়ার পর তার জন্য করণীয় কি?

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়...