Tuesday, August 28, 2018

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়ার পর তার জন্য করণীয় কি?

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়ার পর তার জন্য করণীয় কি?
===================================
উত্তর:
সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা হারাম। কেননা এতে সরাসরি সুদের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি হারাম কাজে সহায়তা করা হয়।
তবে কেউ যদি সুদ ও সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা হারাম ব্যাপারে না জানার কারণে সারা জীবন তাতে চাকুরী করে এবং শেষ পযর্ন্ত চাকুরী থেকে অব্যহতি গ্রহণ করে তাহলে তার জন্য এখন করণীয় হল, আল্লাহর নিকট অতীত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা আর ব্যাংকে চাকুরীর ইনকাম তার জন্য হালাল। চাই সে তা খরচ করে ফেলুক অথবা জমা থাকুক। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন:

প্রশ্ন: সুদ কি? ব্যাংকের সাথে সুদের কী সম্পর্ক এবং সুদী ব্যাংকে জব করা কেন হারাম?

প্রশ্ন: সুদ কি? ব্যাংকের সাথে সুদের কী সম্পর্ক এবং সুদী ব্যাংকে জব করা কেন হারাম?
---------------------
উত্তর:
সুদ কি?
আরবী রিবা শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো বৃদ্ধি,অতিরিক্ত, প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি।

ফকীহদের পরিভাষায় পণ্য বা অর্থের বিনিময়ে প্রদেয় অতিরিক্ত পণ্য বা অর্থই হলো রিবা।
সুদের প্রকারভেদ:
ইসলামী শরীয়া অনুসারে রিবা দুই প্রকার। যথা:
🔹১. ربا النسيئة রিবা আল-নাসিয়া: এর মানে সময়ের বিনিময়। 'নাসিয়া' শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো বিলম্ব বা প্রতীক্ষা।
উদাহরণ: ক ১ বছরের জন্য খ কে ১০০-/ টাকা দিল এই শর্তে যে, তাকে ১০০-/ টাকার সাথে অতিরিক্ত আরও ১০ টাকা দেয়া হবে। এই অতিরিক্ত ১০-/ টাকা হলো রিবা আল- নাসিয়া।
এভাবে টাকা ঋণের মাধ্যমে জাহেলীযুগের লোকেরা সুদ লেনদেরন করত। আল্লাহ তাআলা এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন

❓প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা কিভাবে ইসলামী শরীয়ত এর পরিপন্থী? পরিবারের সদস্যদেরকে এটা বলতে গেলে তারা তা না মেনে বিভিন্ন রকম যুক্তি দেয়। যেমন, মহানবী সা. এর সময় তো ব্যাংক ছিলো না। সেজন্য সুদের ব্যাপারগুলো ব্যাংকে চাকুরীর বিষয়ে প্রযোজ্য নয়। এরকম নানা যুক্তি। দয়া করে এ বিষয়ে জানালে উপকৃত হবো।

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা কিভাবে ইসলামী শরীয়ত এর পরিপন্থী? পরিবারের সদস্যদেরকে এটা বলতে গেলে তারা তা না মেনে বিভিন্ন রকম যুক্তি দেয়। যেমন, মহানবী সা. এর সময় তো ব্যাংক ছিলো না। সেজন্য সুদের ব্যাপারগুলো ব্যাংকে চাকুরীর বিষয়ে প্রযোজ্য নয়। এরকম নানা যুক্তি। দয়া করে এ বিষয়ে জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর:
ইসলামে সুদী কারবার করা কাবীরা গুনাহ বা বড় পাপ। এ মর্মে কুরআন-হাদীসে বহু সর্তকবাণী উচ্চারিত হয়েছে। সুতরাং সুদ সংশ্লিষ্ট সব কিছু থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা মুসলিমের জন্য আবশ্যক।
সুদী বাংকে চাকুরী করা গুনাহর কাজে সহযোগিতা করার শামিল। আল্লাহ বলেন:

ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুদখাওয়া কি বৈধ?

ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুদখাওয়া কি বৈধ?>>>>>======================বাংলাদেশকে যেমন ডিজিটাল করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই কিছু সুদি মহল সুদকে ডিজিটাল শব্দব্যবহার করে সমাজে নারীর ইজ্জত লুন্ঠন আর জাহান্নামে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দিচ্ছে।★কিছু লোক # মাল্টিপারপাছনামে সুদি কারবার করছে আর সেটাকে হালাল মনে করছে যাখুবই নিকৃষ্ট কাজ।আরেকটি ডিজিটাল সুদের নামহলো #কিস্তি , যার প্রভাব এতভয়ানক ভাবে বিস্তার করেছে যেমনে হয় ডিজিটাল বাংলাদেশে আনুমানিক বেশির ভাগ মানুষএই ডিজিটাল সুদে জর্জরিতহয়ে পরেছে। এই সুদ নেওয়া দেওয়ার প্রক্রিয়া এমন হচ্ছে যেযদি সময় মত কিস্তি না দিতে পারে,

সুদী ব্যাংকে চাকরি করার বিধান কি❓প্রশ্ন: আমার এক relative ব্যাংক এ জব করতে চায়। আমি তাকে বলছি যে, ব্যাংক এ জব করা হারাম কিন্তু সে দলিল চাইছে যে, কেন ব্যাংক এ জব করা হারাম হবে? আমি তাকে উপযুক্ত দলিল দিতে পারি নি। কারণ আমি নিজেও সঠিক ভাবে জানি না। তাই আমি জানতে চাই যে, ব্যাংক সুদের সাথে কিভাবে জড়িত? ব্যাংক এর সাথে সুদ এর সম্পর্ক কি? কেন ব্যাংক এ জব করা হারাম হবে? জব করার সাথে সুদ এর কি সম্পর্ক? কারণ সে তো কাজ করবে টাকা পাবে?

সুদী ব্যাংকে চাকরি করার বিধান কিপ্রশ্ন: আমার এক relative ব্যাংক এ জব করতে চায়। আমি তাকে বলছি যে, ব্যাংক এ জব করা হারাম কিন্তু সে দলিল চাইছে যে, কেন ব্যাংক এ জব করা হারাম হবে? আমি তাকে উপযুক্ত দলিল দিতে পারি নি। কারণ আমি নিজেও সঠিক ভাবে জানি না। 
তাই আমি জানতে চাই যে, ব্যাংক সুদের সাথে কিভাবে জড়িত? ব্যাংক এর সাথে সুদ এর সম্পর্ক কি? কেন ব্যাংক এ জব করা হারাম হবে? জব করার সাথে সুদ এর কি সম্পর্ক? কারণ সে তো কাজ করবে টাকা পাবে?
উত্তর: সুদী কারবার করে এমন ব্যাংকে চাকুরী করা হারাম। কারণ, এতে গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা হয়। কেননা, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ অর্থ: “ পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।” (সূরা মায়িদাহ: ২)
সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, জাবের রা. হতে বর্ণিত:

*প্রশ্ন:* ক. সুদী ব্যাংকে চাকরীজীবি তার আয়ের টাকা দিয়ে কিছু উপহার দিলে কি সেটা নেয়া জায়েয হবে? খ. হারাম অর্থ উপার্জন করে এমন ব্যক্তির বাড়িতে কি দাওয়াত খাওয়া জায়েয হবে?

*প্রশ্ন:* ক. সুদী ব্যাংকে চাকরীজীবি তার আয়ের টাকা দিয়ে কিছু উপহার দিলে কি সেটা নেয়া জায়েয হবে?
খ. হারাম অর্থ উপার্জন করে এমন ব্যক্তির বাড়িতে কি দাওয়াত খাওয়া জায়েয হবে?
*উত্তর:*
হারাম সম্পদ দু প্রকার। যথা:
🔸 *১) মূল সম্পদটাই হারাম।* যেমন, চুরি-ডাকাতি বা ছিনতাই করা করা জিনিস বা টাকা পায়সা, সুদ ও ঘুষের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা ইত্যাদি। কেউ যদি সরাসরি সেই জিনিসটা উপাহার দেয়া বা সেই টাকা দ্বারা উপহার কিনে দেয় তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েয নাই।
অনুরূপভাবে চুরি-ডাকাতি করা সেই খাদ্যদ্রব্য বা অর্থের মাধ্যমে ক্রয়কৃত খাবার খেতে দেয় তাহলে তা খাওয়া জায়েয হবে না।

সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা এবং এর সাথে আদান প্রদান করা বৈধ কি?

সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা এবং এর সাথে আদান প্রদান করা বৈধ কি?
এতে যে কোন চাকুরী করা হারাম।
যেহেতু এতে চাকুরী করার অর্থই হল সূদের উপর সহায়তা করা। অতএব যদি সূদী কারবারের উপর সহায়তা হয়, তাহলে সে (চাকুরে) সহায়ক হিসেবে অভিশাপে শামিল হবে।
নবী (সঃ) বলেছেন ;
সুদখোর, সুদদাতা, তার সাক্ষিদাতা ও তার লেখককে অভিসাম্পত করেছেন এবং
বলেছেন, “ওরা সবাই সমান।”
(মুসলিম ১৫৯৮ নং)।
পক্ষান্তরে এ কাজ যদি সুদী কারবারের উপর সহায়ক না হয়, তাহলেও উক্ত কারবারে তার সম্মতি ও মৌন সমর্থন
প্রকাশ পায়। তাই

সুদখোরের নিকট চাকুরী করা অথবা সুদের কোন প্রকার সহায়তা করাঃ-

সুদখোরের নিকট চাকুরী করা অথবা সুদের কোন প্রকার সহায়তা করাঃ-
সুদের দরজা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ইসলাম যে সব উপায় ও পদ্ধতি ব্যবহার করেছে তার মধ্যে এক পদ্ধতি এই যে, সুদকে যেমন হারাম ও অবৈধ ঘোষণা করেছে তেমনি তার সর্বপ্রকার সাহায্য ও সহযোগিতাকেও হারাম ও নিষিদ্ধ জারী করেছে। সুতরাং সূদ নেওয়া যেমন হারাম তেমনি দেওয়াও হারাম। (অবশ্য নিরুপায় অবস্থার কথা ভিন্ন।) অনুরূপ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সেই কর্ম করাকেও হারাম বলা হয়েছে যে সব কর্মে বা কর্মক্ষেত্রে সূদী কারবার আছে। অতএব সুদী খাতা-পত্র লেখক, হিসাবরক্ষক, সুদীকারবারের সাক্ষ্যদাতা প্রভৃতিও এ সুদখোরের মত সমান গোনাহরই ভাগী।
এ কথা হাদীস শরীফে স্পষ্টভাবে এইরূপ এসেছেঃ

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়ার পর তার জন্য করণীয় কি?*

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়ার পর তার জন্য করণীয় কি?*
উত্তর:
সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা হারাম। কেননা এতে সরাসরি সুদের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি হারাম কাজে সহায়তা করা হয়।
তবে কেউ যদি সুদ ও সুদী ব্যাংকে চাকুরী করা হারাম ব্যাপারে না জানার কারণে সারা জীবন তাতে চাকুরী করে এবং শেষ পযর্ন্ত চাকুরী থেকে অব্যহতি গ্রহণ করে তাহলে তার জন্য এখন করণীয় হল, আল্লাহর নিকট অতীত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা আর ব্যাংকে চাকুরীর ইনকাম তার জন্য হালাল। চাই সে তা খরচ করে ফেলুক অথবা জমা থাকুক। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন:

প্রশ্ন- পরিবারের লোকদেরকে কম মোহরের উপকারিতা কিভাবে বুঝিয়ে বলা যায়? যেহেতু তারা কেউ কমে মানতে চায় না। তারা এত অতিরিক্ত দাবি করে যা বরের সামর্থ্যে বাইরে হয়ে যায়।*

প্রশ্ন- পরিবারের লোকদেরকে কম মোহরের উপকারিতা কিভাবে বুঝিয়ে বলা যায়? যেহেতু তারা কেউ কমে মানতে চায় না। তারা এত অতিরিক্ত দাবি করে যা বরের সামর্থ্যে বাইরে হয়ে যায়।*
উত্তর:
ইসলামে বিয়ের সময় মোহরানা নির্ধারণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا
“আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মেহর দিয়ে দাও খুশী মনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে কিছু অংশ ছেড়ে দেয় তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।" (সূরা নিসা: ৪)

উক্ত আয়াতের আলোকে একজন স্বামীর জন্য স্ত্রীকে সম্পূর্ণ মোহার পরিশোধ করা ফরয। কিন্তু স্ত্রী যদি তার মোহর থেকে স্বেচ্ছায় কিছু ছাড় দেয় তাহলে সে স্বাচ্ছন্দ্যে তা ভোগ করতে পারে।
মনে রাখা প্রয়োজন যে,
মোহর একটি ঋণ-যা

সুদ কেন হারাম ? প্রশ্নঃ সুদ কে কেন হারাম করা হল? যারা সুদ খায় তাদের পরিণাম কি হবে? সুদী ব্যাংকে চাকরী করা যাবে কি?

সুদ কেন হারাম ? প্রশ্নঃ সুদ কে কেন হারাম করা হল? যারা সুদ খায় তাদের পরিণাম কি হবে? সুদী ব্যাংকে চাকরী করা যাবে কি?
উত্তরঃ যে কোনো মুসলমানের জন্য ওয়াজিব হলো সে আহকামে শরিয়াকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করবে এবং আল্লাহর যে কোনো বিধানের ওপর সন্তুষ্ট থাকবে। সে বিধান বা আল্লাহর আদেশের হিকমত-কারণ জানা থাক বা না থাক, তাকে অবশ্যই তার আনুগত্য করতে হবে। তবে আল্লাহর আহকামের মধ্যে কোনো কোনো আহকাম এমন আছে যেগুলির কারণ স্পষ্ট যেমন সুদ হারাম হওয়ার কারণ। সুদকে আল্লাহ এ কারণেই হারাম করেছেন যে, এর মাধ্যমে অভাবীদের অভাবকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানো হয়, একজন গরিব লোকের ওপর অধিকহারে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও সমাজে সুদের প্রচলনের কারণে পারস্পরিক সুসম্পর্ক নষ্ট হয়, বিশৃংখলা, মারামারি,

সুদী ব্যাঙ্কে যারা চাকরী করছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাকরী ছেড়ে দিয়ে অন্য চাকরী খুজুন-

সুদী ব্যাঙ্কে যারা চাকরী করছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাকরী ছেড়ে দিয়ে অন্য চাকরী খুজুন-
১- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীগণকে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসলিম-১৫৯৭)
২- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, জেনে শুনে মানুষের মাত্র ১ দিরহাম খাওয়া সুদ আল্লাহর নিকটে ৩৬ বার ব্যভিচার অপেক্ষা অধিক গুরুত্বর। (মুসনাদে আহমাদ-৫/৩৩৫, সহিহুল জামে-৩৩৭৫)
৩- রাসুল (সাঃ) বলেছেন, সুদ খাওয়ায় রয়েছে ৭০ প্রকার পাপ। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট পাপ হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করার মত। (সহিহ ইবনে মাজাহ-১৮৪৪)
শুধু চাকরিজীবী নয়, সুদী ব্যাঙ্কে টাঁকা রেখে যারা সুদ গ্রহণ করেন তাদের ক্ষেত্রেও একই বিধান। যদি

প্রশ্ন : আমি একটি সুদী ব্যাংকে চাকুরী করি, যা সুদ ভিত্তিক লোণ দেয় এবং সুদ ভিত্তিক Deposit গ্রহন করে। আমি জেনেছি যে, সুদী ব্যাংকে কাজ করা হারাম, তাই অনুগ্রহ করে নিম্নের প্রশ্নগুলির উত্তর দিন: ★১. আমার এই ব্যাংকের চাকুরী হারাম কি না, আমি একজন সাধারন কর্মচারী, (ব্যাংকের) অর্থের মালিক নই? ★২. আমি কি এই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে অন্য একটি চাকুরী খুজব, এই জেনে যে, এই চাকুরীর সম পরিমান বেতনের কাজ পাওয়া খুবই কষ্টকর। আমি কি অন্য কাজ পাওয়ার আগেই ব্যাংক ছেড়ে দিব, নাকি অপেক্ষা করব অন্য কাজ পাওয়া পর্যন্ত? ★৩. আমি ১২ বছর ব্যাংকে কাজ করেছি, এই বছর গুলির হারাম রুযীর ক্ষেত্রে বিধান কি? আমি এই ব্যাংকে কাজ করে যে আয় করেছি তা হারাম কিনা? আমি যে হজ্জ করেছি তার অর্থ এই ব্যাংকের বেতনের টাকা দিয়ে করা হয়েছে, আমার এই হজ্জ কি গ্রহন যোগ্য হয়েছে?

প্রশ্ন : আমি একটি সুদী ব্যাংকে চাকুরী করি, যা সুদ ভিত্তিক লোণ দেয় এবং সুদ ভিত্তিক Deposit গ্রহন করে। আমি জেনেছি যে, সুদী ব্যাংকে কাজ করা হারাম, তাই অনুগ্রহ করে নিম্নের প্রশ্নগুলির উত্তর দিন:
★১. আমার এই ব্যাংকের চাকুরী হারাম কি না, আমি একজন সাধারন কর্মচারী, (ব্যাংকের) অর্থের মালিক নই?
★২. আমি কি এই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে অন্য একটি চাকুরী খুজব, এই জেনে যে, এই চাকুরীর সম পরিমান বেতনের কাজ পাওয়া খুবই কষ্টকর। আমি কি অন্য কাজ পাওয়ার আগেই ব্যাংক ছেড়ে দিব, নাকি অপেক্ষা করব অন্য কাজ পাওয়া পর্যন্ত?
★৩. আমি ১২ বছর ব্যাংকে কাজ করেছি, এই বছর গুলির হারাম রুযীর ক্ষেত্রে বিধান কি? আমি এই ব্যাংকে কাজ করে যে আয় করেছি তা হারাম কিনা? আমি যে হজ্জ করেছি তার অর্থ এই ব্যাংকের বেতনের টাকা দিয়ে করা হয়েছে, আমার এই হজ্জ কি গ্রহন যোগ্য হয়েছে?
উত্তর : প্রথমত:

Monday, August 27, 2018

মহানবী (স) কীভাব কাপড় ধুইতেন বা পবিত্র করতেন....?

মহানবী (স) কীভাব কাপড় ধুইতেন বা পবিত্র করতেন....?

ইসলামী শরীয়তে কাপড় ধোয়ার নিয়ম হল, পাক পানি দ্বারা এমনভাবে কাপড় ধৌত করতে হবে যেন তাতে নাপাকি লেগে না থাকে। এর জন্য যতবার প্রয়োজন ততবার ধৌত করতে হবে। তিনবার ধুতে হবে এমন কোন কথা শরীয়তে নেই। যে কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা সুন্নাত। সুতরাং

প্রশ্ন: আমাদের আশেপাশে কিছু মহিলা আছে যাদেরকে নামাজ পড়ার কথা বললে তারা উত্তর দেয়, এখনো নামাজের সময় হয় নি। বুড়ো হলে নামাজ পড়ব। এখন তাদের প্রতি আমাদের কী করণীয় আছে?

প্রশ্ন: আমাদের আশেপাশে কিছু মহিলা আছে যাদেরকে নামাজ পড়ার কথা বললে তারা উত্তর দেয়, এখনো নামাজের সময় হয় নি। বুড়ো হলে নামাজ পড়ব। এখন তাদের প্রতি আমাদের কী করণীয় আছে?

উত্তর:

যারা বলে বুড়ো হলে নামায পড়বে শয়তান তাদের মন-মস্তিস্ক বিকৃত করে রেখেছে অথবা প্রবৃত্তির অন্ধ অনুসরবে ডুবে আছে। এরা কি জানে, তারা কত দিন বাঁচবে? কত যুবক/যুবতী তাদের উচ্ছল যৌবনের সীমা অতিক্রম করার পূর্বেই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে! প্রতিদিন এগুলো তারা দেখছে। তাহলে কোন যুক্তিতে তারা বলে বুড়ো হলে নামায পড়ব?!

প্রশ্ন: সিসা, হুক্কা, বিড়ি-সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি গ্রহণ করার হুকুম কি?


প্রশ্ন: সিসা, হুক্কা, বিড়ি-সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি গ্রহণ করার হুকুম কি?

উত্তর: ইসলামে ধুমপান ও সকল প্রকার নেশাদ্রব্য হারাম। আমাদের সমাজে ধুমপানের বিভিন্ন পদ্ধতি চালু রয়েছে। যেমন বিড়ি, সিগারেট, সিসা, হুক্কা ইত্যাদি।

অনুরূপভাবে মানুষ গুল, জর্দা, তামাক ইত্যাদি সেবন করে থাকে। এগুলো সব নেশাদ্রব্য। সে কারণে এগুলো সেবন করা হারাম। কেননা, বৈজ্ঞানিকভাবে এগুলো মানব দেহের জন্য মরাত্মক ক্ষতিকারক হিসেবে প্রমাণিত। 

বিশেষজ্ঞগণ বলেন,

বর্তমানে গরুর/মুরগীর গোস্ত কয়লার আগুনে পুরিয়ে বারবিকিউ করা হয়। এটা কি খাওয়া হালাল হবে?

বর্তমানে গরুর/মুরগীর গোস্ত কয়লার আগুনে পুরিয়ে বারবিকিউ করা হয়। এটা কি খাওয়া হালাল হবে?
আল্লাহ তাআলা মুরগীর গোস্ত খাওয়া আমাদের জন্য হালাল করেছেন। সুতরাং তা রান্না করে, সিদ্ধ করে, ভুনা করে, কয়লার আগুনে বারবিকউ করে, কাবাব করে, ব্রুস্টেড করে ...ইত্যাদি যেভাবে ইচ্ছা খেতে কোন বাধা নেই। আল হামদুলিল্লাহ।

প্রশ্ন: ইসলাম হস্তমৈথুন সম্পর্কে কী বলে?

প্রশ্ন: ইসলাম হস্তমৈথুন সম্পর্কে কী বলে?
উত্তর:
স্বামী-স্ত্রীর মিলন বা দাসীর সাথে যৌন সঙ্গম ছাড়া অন্য কোনভাবে যৌনক্ষুধা নিবারণ করা হারাম বলে বিজ্ঞ আলেমগণ ফতোয়া প্রদান করেছেন। তারা এ বিষয়ে কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত দ্বারা দলীল পেশ করেন:
আল্লাহ তাআলা বলেন:
* وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ ﴿٥﴾ إِلَّا عَلَىٰ أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ ﴿٦﴾ فَمَنِ ابْتَغَىٰ وَرَاءَ ذَٰلِكَ فَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْعَادُونَ*
এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্য কিছু কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে। (সূরা মুমিনূন: ৫-৭)
যেহেতু এখানে স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসী ছাড়া অন্য পথ অবলম্বন করাকে সীমালংঘণ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাই হস্তমৈথুন বা

মহানবী (স) নাকি বলছেন যে পৃথিবীতে ছোঁয়াছে বলে কোন রোগ নাই। এটা কী সত্য? প্রশ্ন: ইসলামে কি ছোঁয়াচে রোগকে অস্বীকার করা হয়েছে?

মহানবী (স) নাকি বলছেন যে পৃথিবীতে ছোঁয়াছে বলে কোন রোগ নাই। এটা কী সত্য? প্রশ্ন: ইসলামে কি ছোঁয়াচে রোগকে অস্বীকার করা হয়েছে?
উত্তর:
এ উত্তরটি ভালোভাবে জানার জন্য নিম্নোক্ত লেখাটি পড়ুন:
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
لا عَدْوَى وَلا طِيَرَةَ وَلا هَامَةَ وَلا صَفَرَ "
“রোগ সংক্রমণ, কুলক্ষণ, পেঁচা এবং সফর মাস বলতে কিছু নাই।” (সহীহু বুখারী, হা/৫৭০৭)
মুহাদ্দিসগণ বলেন, উক্ত হাদীসে পেঁচা ও সফর মাসের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয় নি বরং জাহেলী যুগে পেঁচার ডাক এবং সফর মাসকে কুলক্ষণে মনে করা হত (বর্তমানেও মূর্খ লোকদের মাঝে এ কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে) এই বাতিল ও ভ্রান্ত বিশ্বাসকে অস্বীকার করা হয়েছে। অনুরূপভাবে সংক্রমন রোগের অস্তিত্বকেও অস্বীকার করা হয় নি বরং একটি ভ্রান্ত বিশ্বাসের অনোদন করা হয়েছে। তা হল, জাহেলী যুগে কোনো কোন ব্যাধিকে এমন মনে করা হত যে, তা নিজে নিজেই সংক্রমিত হয়। কিন্তু ইসলামের সৃষ্টিভঙ্গী হল, রোগ কখনও নিজে নিজে সংক্রমিত হতে পারে না। বরং তা আল্লার ইচ্ছার সাথে সংম্পৃক্ত। তার লিখিত তাকদীর ছাড়া কোন কিছুই ঘটে না।
উক্ত হাদীসের এই ব্যাখ্যাটি নিন্মোক্ত হাদীস থেকে স্পষ্ট হয়।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে,

বিয়ের সময় স্ত্রীকে যে অলংকার বা অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয় তা সাধারনতঃ দেন-মোহরের টাকা থেকে কেটে রাখা হয়। এটা কি ঠিক?

বিয়ের সময় স্ত্রীকে যে অলংকার বা অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয় তা সাধারনতঃ দেন-মোহরের টাকা থেকে কেটে রাখা হয়। এটা কি ঠিক?
বিয়ের সময় স্ত্রীকে যে সকল স্বর্ণালঙ্কার প্রদান করা হয় তা মোহর হিসেবে ধরা যাবে। তবে তা মোহর দেয়ার সময় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
কেননা তা ভোরণ ও পোষণ থেকে অতিরিক্ত। সুতরাং

প্রশ্ন: মহিলাদের মুখমণ্ডল কি পর্দার অন্তর্ভুক্ত? মহিলাদের মুখ ঢাকা কি জরুরী?

প্রশ্ন: মহিলাদের মুখমণ্ডল কি পর্দার অন্তর্ভুক্ত? 
-----------------------------

উত্তর:
এ বিষয় সঠিক কথা হল, মহিলাদের মুখমণ্ডল পর্দার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং তা পরপুরুষদের সামনে ঢাকা ফরজ। এ মর্মে কয়েকটি দলীল নিন্মরূপ:
১. আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, 
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ قُل لِّأَزۡوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ يُدۡنِينَ عَلَيۡهِنَّ مِن جَلَٰبِيبِهِنَّۚ ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَن يُعۡرَفۡنَ فَلَا يُؤۡذَيۡنَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ٥٩ ﴾ [الاحزاب: ٥٩] 
‘হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মু’মিনদের নারীগণকে বল, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের ওপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে, ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না।’ {সূরা আল-আহযাব, আয়াত : ৫৯} 
পর্দা বিষয়ে এ আয়াত অত্যন্ত পরিস্কার ও স্পষ্ট। কারণ, এ আয়াত থেকে জানা যায়, পর্দার নির্দেশের মধ্যে মুখমণ্ডলও অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া এ আয়াতে আযওয়াজে মুতাহহারাত (রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পুতঃপবিত্র সহধর্মীনীগণ) ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যাগণের সঙ্গে মুসলিম মহিলাদেরও সম্বোধন করা হয়েছে। 

এ আয়াতে ‘জালাবীব’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা

Sunday, August 26, 2018

হিজরত করা ওয়াজেব কখন?

 হিজরত করা ওয়াজেব কখন?


মুসলিম যখন নিজের দ্বীন প্রকাশ করতে,  দ্বীনের প্রতীক সমূহ প্রতিষ্ঠা করতে বাধাপ্রাপ্ত হবে, নামাজ কায়েম করতে, জুমাআহ ও জামায়াত কায়েম করতে, যাকাত, রোজা ও হজ্জ পালন করতে অক্ষম হবে, তখন হিজরত ওয়াজেব হবে। মহান আল্লাহ বলেন,

“যারা নিজেদের উপর অবিচার করে, তাদের প্রাণ হরণের সময় ফিরিশতাগণ বলে, ‘তোমরা কি অবস্থায় ছিলে?’ তাঁরা বলে, ‘দুনিয়ায় আমরা অসহায় ছিলাম।’ তাঁরা বলে, ‘তোমরা নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে বসবাস করতে পারতে, আল্লাহর দুনিয়া কি এমন প্রশস্ত ছিল না?’ এদেরই আবাসস্থল জাহান্নাম। আর তা
কত নিকৃষ্ট আবাস! (নিসাঃ ৯৭)
সুতরাং যে

প্রশ্নঃ যে স্বামী তার স্ত্রীর হক্ক আদায় করেনা, স্ত্রীকে অবহেলা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তার হক্ক থেকে বঞ্চিত করে, স্ত্রীকে মারধর ও জুলুম অত্যাচার করে. . .এম জালেম বা অত্যাচারী স্বামীর জন্যে কি শাস্তি রয়েছে?

প্রশ্নঃ যে স্বামী তার স্ত্রীর হক্ক আদায় করেনা, স্ত্রীকে অবহেলা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তার হক্ক থেকে বঞ্চিত করে, স্ত্রীকে মারধর ও জুলুম অত্যাচার করে. . .এম জালেম বা অত্যাচারী স্বামীর জন্যে কি শাস্তি রয়েছে?
উত্তরঃ ইসলাম ধর্মে সব ধরণের জুলুম-অত্যাচার কঠোরভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা একটা ‘কবীরাহ গুনাহ’ বা মহাপাপ।
আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লা বলেন, “হে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজের জন্যে জুলুম করা হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যেও জুলুম হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা একজন আরেকজনের উপর জুলুম করো না।”
সহিহ মুসলিমঃ ২৫৭৭; জামে তিরমিযি।

Saturday, August 25, 2018

চাঁদাবাজি করার ইসলামী বিধান

চাঁদাবাজি করার ইসলামী বিধান


চাঁদাবাজি আরেকটি মারাত্মক অপরাধ। কোন প্রভাবশালী চক্র কর্তৃক জোর পূর্বক কাউকে কোথাও নিজ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য অথবা নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করা ইত্যাদির জন্য নির্দিষ্ট অথবা অনির্দিষ্ট পরিমাণে চাঁদা দিতে বাধ্য করাকে সাধারণত চাঁদাবাজি বলা হয়। দস্যুতার সাথে এর খুবই মিল। চাঁদা উত্তোলনকারী, চাঁদা লেখক ও চাঁদা গ্রহণকারী সবাই উক্ত গুনাহ্’র সমান অংশীদার। এরা যালিমের সহযোগী অথবা সরাসরি যালিম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

বিচারক বিচারের সময় কোন ব্যাপারেই রাগান্বিত হতে পারবেন না

 বিচারক বিচারের সময় কোন ব্যাপারেই রাগান্বিত হতে পারবেন না


বিচারকের নিকট যে কোন ব্যক্তির অভিযোগ পৌঁছানো যেন কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয় উহার প্রতি বিচারককে অবশ্যই যত্নবান হতে হবে


‘আমর বিন্ মুর্রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
مَا مِنْ إِمَامٍ يُغْلِقُ بَابَهُ دُوْنَ ذَوِيْ الْـحَاجَةِ وَالْـخَلَّةِ وَالْـمَسْكَنَةِ ؛ إِلاَّ أَغْلَقَ اللهُ أَبْوَابَ السَّمَاءِ دُوْنَ خَلَّتِهِ وَحَاجَتِهِ وَمَسْكَنَتِهِ.
‘‘কোন সমস্যায় জর্জরিত ব্যক্তি কোন রাষ্ট্রপতি অথবা বিচারকের নিকট তার অভিযোগ উত্থাপন করতে বাধাগ্রস্ত হলে সেও আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট নিজ সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে বাধাগ্রস্ত হবে’’। (তিরমিযী ১৩৩২)

বিচারক বিচারের সময়

বিচারের ক্ষেত্রে সাক্ষী-প্রমাণ উপস্থাপনের দায়িত্ব একমাত্র বাদীর উপর এবং কসম হচ্ছে বিবাদীর উপর

বিচারের ক্ষেত্রে সাক্ষী-প্রমাণ উপস্থাপনের দায়িত্ব একমাত্র বাদীর উপর এবং কসম হচ্ছে বিবাদীর উপর


শু‘আইব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা তাঁর খুৎবায় বলেন:
الْبَيِّنَةُ عَلَى الْمُدَّعِيْ وَالْيَمِيْنُ عَلَى الْـمُدَّعَى عَلَيْهِ.
‘‘বাদীর উপর সাক্ষী-প্রমাণ এবং বিবাদীর উপর কসম’’।

আপনার স্বেচ্ছাচারিতা যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়

 আপনার স্বেচ্ছাচারিতা যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়



আপনার মালিকানাধীন জায়গায় আপনি যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন না যাতে অন্য জন কষ্ট পায়। বরং এমনভাবেই আপনি আপনার জমিন ব্যবহার করবেন যাতে আপনার পাশের ব্যক্তি কোনভাবেই কষ্ট না পায়।
‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আববাস্ ও ’উবাদাহ্ বিন্ স্বামিত্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

لَا ضَرَرَ وَلَا ضِرَارَ.
‘‘না তুমি নিজ বা অন্যের ক্ষতি করতে পারো। আর না তোমরা পরস্পর (প্রতিশোধের ভিত্তিতে) একে অপরের ক্ষতি করতে পারো’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২৩৬৯, ২৩৭০)
আবূ স্বিরমাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন:

কেউ অবৈধভাবে অন্যের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়েছে তা জেনেশুনেও অন্য কেউ এ ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তার উপর অসন্তুষ্ট হন যতক্ষণ না সে তা পরিত্যাগ করে।

কেউ অবৈধভাবে অন্যের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়েছে তা জেনেশুনেও অন্য কেউ এ ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তার উপর অসন্তুষ্ট হন যতক্ষণ না সে তা পরিত্যাগ করে।



‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

مَنْ أَعَانَ عَلَى خُصُوْمَةٍ بِظُلْمٍ ؛ لَمْ يَزَلْ فِيْ سَخَطِ اللهِ حَتَّى يَنْزِعَ عَنْهُ.
‘‘কেউ যদি জেনেশুনে অন্যায় মূলক বিবাদে অন্যকে সহযোগিতা করে আল্লাহ্ তা‘আলা তার উপর খুবই রাগান্বিত হন যতক্ষণ না সে তা পরিত্যাগ করে’’।

মানুষকে অযথা শাস্তি দেয়া কিংবা প্রহার করা কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।

মানুষকে অযথা শাস্তি দেয়া কিংবা প্রহার করা  কবীরা গুনাহ্ ও হারাম।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
صِنْفَانِ مِنْ أَهْلِ النَّارِ لَمْ أَرَهُمَا، قَوْمٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَذْنَابِ الْبَقَرِ يَضْرِبُوْنَ بَهَا النَّاسَ.
‘‘দু’ জাতীয় মানুষ এমন রয়েছে যারা জাহান্নামী। তবে আমি তাদেরকে এখনো দেখিনি। তাদের মধ্যে এক জাতীয় মানুষ এমন যে, তাদের হাতে থাকবে লাঠি যা দেখতে গাভীর লেজের ন্যায়। এগুলো দিয়ে তারা অযথা মানুষকে প্রহার করবে’’। (মুসলিম ২১২৮)
আবূ উমামাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

يَكُوْنُ فِيْ هَذِهِ الْأُمَّةِ فِيْ آخِرِ الزَّمَانِ رِجَالٌ مَعَهُمْ سِيَاطٌ كَأَنَّهَا أَذْنَابُ الْبَقَرِ، يَغْدُوْنَ فِيْ سَخَطِ اللهِ، وَيَرُوْحُوْنَ فِيْ غَضَبِهِ.
‘‘এ উম্মতের মধ্যে শেষ যুগে এমন কিছু লোক পরিলক্ষিত হবে যাদের সাথে থাকবে

কোন নির্দোষকে অন্যের দোষে দন্ডিত করা হারাম।

কোন নির্দোষকে অন্যের দোষে দন্ডিত করা হারাম।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

«وَلَا تَكْسِبُ كُلُّ نَفْسٍ إِلاَّ عَلَيْهَا، وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ أُخْرَى».
‘‘প্রত্যেক ব্যক্তি স্বীয় কৃতকর্মের জন্য নিজেই দায়ী। কোন পাপীই অন্যের পাপের বোঝা নিজে বহন করবে না’’। (আন্‘আম : ১৬৪)
আল্লাহ্ তা‘আলা আরো বলেন:

«وَمَنْ يَّكْسِبْ خَطِيْئَةً أَوْ إِثْمًا ثُمَّ يَرْمِ بِهِ بَرِيْئًا فَقَدِ احْتَمَلَ بُهْتَانًا وَّإِثْمًا مُّبِيْنًا».
‘‘যে ব্যক্তি নিজেই কোন অপরাধ বা পাপ করে তা নিরপরাধ কোন ব্যক্তির উপর আরোপ করে তা হলে সে নিজেই উক্ত অপবাদ ও প্রকাশ্য গুনাহ্ বহন করবে’’। (নিসা’ : ১১২)
‘আমর বিন্ আ’হ্ওয়াস্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বিদায় হজ্জের দিবসে নিম্নোক্ত কথা বলতে শুনেছি। তিনি বলেন:

রাসূল অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি: আমাদের করণীয়

  রাসূল অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি: আমাদের করণীয়
إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين أما بعد:
আল্লাহ তা‘আলা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে রাসূল প্রেরণ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ব মানবগোষ্ঠীর জন্য সর্বশেষ রাসূল। তিনি সকল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রেরিত নবী। আরবী, অনারবী, সাদা-কালো সবার জন্য তিনি নবী ও রাসূল। তিনি সকল নবী ও রাসূলেরও নেতা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿لَقَدۡ مَنَّ ٱللَّهُ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذۡ بَعَثَ فِيهِمۡ رَسُولٗا مِّنۡ أَنفُسِهِمۡ يَتۡلُواْ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتِهِۦ وَيُزَكِّيهِمۡ وَيُعَلِّمُهُمُ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَإِن كَانُواْ مِن قَبۡلُ لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٍ ١٦٤ ﴾ [ال عمران: ١٦٤]
“অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসূল পাঠিয়েছেন, যে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতঃপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল।” [সূরা আলে ইমরান: ১৬৪]
বর্তমানে বিভিন্নভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবমাননা করা হচ্ছে, অথচ আমরা জানি না যে, এর পরিণাম কত ভয়াবহ। এ বিষয়ে আমাদের সঠিক জ্ঞান থাকা খুবই জরুরী। আলোচ্য প্রবন্ধে  রাসূলুল্লাহ সা. এর অবমাননার পরিণাম ও শাস্তি সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:
রাসূলুল্লাহর সম্মান ও মর্যাদা

সমাজে প্রচলিত আছে, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে সবাই সমান। একথা কি সত্য?

সমাজে প্রচলিত আছে, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে সবাই সমান। একথা কি সত্য?-মতীউর রহমান, লালবাগ, ঢাকা।উত্তর : একথা সত্য। যে ব্যক্তি অন্যায় করে ও যে ব্যক্তি শক্তি থাকা সত্ত্বেও উক্ত অন্যায়ের প্রতিবাদ করে না, পাপের দিক দিয়ে উভয়ে সমান। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একটি দৃষ্টান্ত পেশ করেন। নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন,

দুর্বল, গরীব ও খ্যাতিহীন মুসলিমদের মাহাত্ম্য

 দুর্বল, গরীব ও খ্যাতিহীন মুসলিমদের মাহাত্ম্য

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ وَٱصۡبِرۡ نَفۡسَكَ مَعَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلۡغَدَوٰةِ وَٱلۡعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجۡهَهُۥۖ وَلَا تَعۡدُ عَيۡنَاكَ عَنۡهُمۡ تُرِيدُ زِينَةَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ ﴾ [الكهف: ٢٨]
অর্থাৎ “তুমি নিজেকে তাদেরই সংসর্গে রাখ যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আহ্বান করে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করে তাদের দিক হতে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো না।” (সূরা কাহফ ২৮ আয়াত)
১/২৫৭। হারেসাহ ইবনে অহাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘‘আমি তোমাদেরকে জান্নাতীদের সম্পর্কে অবহিত করব না কি? (তারা হল) প্রত্যেক দুর্বল ব্যক্তি এবং এমন ব্যক্তি যাকে দুর্বল মনে করা হয়। সে যদি আল্লাহর নামে কসম খায়, তাহলে তা তিনি নিশ্চয়ই পুরা করে দেন। আমি তোমাদেরকে জাহান্নামীদের সম্পর্কে অবহিত করব না কি? (তারা হল) প্রত্যেক রূঢ় সবভাব, কঠিন হৃদয় দাম্ভিক ব্যক্তি।’’ (বুখারী, মুসলিম) [1]
২/২৫৮। আবু আব্বাস সাহ্‌ল ইবনে সা‘দ সায়েদী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,

সহীহ হাদিসের আলোকে পানির মত সহজসাধ্য কিছু প্রচুর সওয়াবের আমল

সহীহ হাদিসের আলোকে পানির মত সহজসাধ্য কিছু প্রচুর সওয়াবের আমল… দুই-তিন মিনিট সময় নিয়ে পড়ুন।আখিরাতের জন্য প্রচুর উপকার হবে।
♦ জুমার দিন কেউ গোসল করে বাড়ি থেকে ওযু করে পায়ে হেঁটে মসজিদে গিয়ে আদবের সাথে বসে, কোন দুষ্টামি না করে সব নামায পড়ে আবার আদবের সহিত বাসায় ফিরলে তাঁর আসা যাওয়ার প্রতি কদমে ১ বছরের নফল রোযা ও ১ বছরের সারারাত তাহায্যুদ নামায পড়ার সওয়াব তাঁকে দেওয়া হবে!! (তিরমিজী ৪৯৬)
♦ কোন ব্যক্তি বাসা থেকে অযু করে যদি জামাতের সহিত নামায পড়ার জন্য মসজিদমুখী হয় তবে তাঁকে একটি পরিপূর্ন হজ্জের সওয়াব দেওয়া হয়। (মেশকাত ৭২৮)
♦হাসিমুখে কথা বলুন।হাসিমুখে কথা বলা সদকা স্বরুপ। অর্থাৎ
আল্লাহর রাস্তায় দান করার সওয়া পাওয়া যায়।

মুমিনের গুণাবলী গুলো কি কি ?

 মুমিনের গুণাবলী গুলো কি কি ?


মুমিনের গুণাবলী

-প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ ثُمَّ لَمْ يَرْتَابُوْا وَجَاهَدُوْا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيْلِ اللهِ أُولَئِكَ هُمُ الصَّادِقُوْنَ- (سورت الحجرات ১৫)-
‘প্রকৃত মুমিন তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে। অতঃপর তাতে কোনরূপ সন্দেহ পোষণ করে না এবং তাদের মাল ও জান দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে। বস্ত্ততঃপক্ষে তারাই হ’ল সত্যনিষ্ঠ’ (হুজুরাত ৪৯/১৫)।
অত্র আয়াতে প্রকৃত মুমিনের দু’টি গুণ বর্ণিত হয়েছে। ১. সন্দেহমুক্ত দৃঢ় ঈমান এবং ২. আল্লাহর পথে সংগ্রাম ও সৎকর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে উক্ত ঈমানের প্রমাণ উপস্থাপন।

সফলতা আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে

সফলতা আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে

কেউ এমন আছে কি যার মনে উন্নতির খায়েশ নেই? এগিয়ে যাবার ইচ্ছে নেই? সম্মান, সুখ্যাতি ও সম্পদ লাভের আকাঙ্ক্ষা নেই? অবশ্যই না। সবাই চায় জীবনে সফল হতে, প্রাপ্তির আনন্দে অবগাহন করতে। তবে হাজারো লাখো মানুষ আছে যারা শুধু উন্নতির চিন্তাই করে, হদয়ে কেবল স্বপ্নের জালই বোনে; কিন্তু সফলতা তাদের পদ চুম্বন করে না। সাফল্যের সোনার হরিণ তাদের কাছে ধরা দেয় না। আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি কেন এমন হয়? পৃথিবীতে যারা সফলতার শীর্ষে আরোহণ করেছেন তারা কি ভিন্ন গ্রহের কেউ?

হিদায়াত ব্যাপারটা অন্তরের স্থায়ী কোন অবস্থা না। জাহেলিয়াত থেকে দ্বীনের বুঝ পেয়ে ইসলামে ফিরে আসা মানেই একটা মানুষ ইসলামে টিকে থাকবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। অনেক মানুষ ইসলামকে পাবার জন্য কঠিন ত্যাগ, পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে তো কেউ বা আবার অনেকটা কম চেষ্টায়ই হিদায়াত পেয়ে যায়।

হিদায়াত ব্যাপারটা অন্তরের স্থায়ী কোন অবস্থা না। জাহেলিয়াত থেকে দ্বীনের বুঝ পেয়ে ইসলামে ফিরে আসা মানেই একটা মানুষ ইসলামে টিকে থাকবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। অনেক মানুষ ইসলামকে পাবার জন্য কঠিন ত্যাগ, পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে তো কেউ বা আবার অনেকটা কম চেষ্টায়ই হিদায়াত পেয়ে যায়।
.
আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা তাকে হিদায়াত দান করেন, অন্তর্চক্ষু খুলে দিয়ে এই জীবনটাকে কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা উচিত তা হাতে কলমে অদৃশ্য উপায়ে শিখিয়ে দেন। কিন্তু এই হিদায়াত মানেই, ঈমান নিয়ে মরতে পারার আগাম সার্টিফিকেট নয়।

Friday, August 24, 2018

অন্তর মরে যাওয়ার দশ কারণ!!

 অন্তর মরে যাওয়ার দশ কারণ!!

অন্তর মরে যাওয়ার দশ কারণ!!! ইবরাহীম বিন আদহাম (মৃত্যু ১৬২ হিজরী) বসরার বাজার দিয়ে যাওয়ার পথে লোকজন তাকে ঘিরে ধরল। তারা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, হে আবু ইসহাক, আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা দুয়া করি কিন্তু দুয়া কবুল হয় না? তিনি বললেন, কারণ, তোমাদের অন্তরগুলো মরে গেছে দশটি কারণে। সেগুলো হল:
▲ প্রথম: তোমরা আল্লাহর পরিচয় পেয়েছ কিন্তু তাঁর হক আদায় করো নি।
▲ দ্বিতীয়: তোমরা বলে থাক যে, তোমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লামকে ভালবাসো কিন্তু তার সুন্নত ও আদর্শকে পরিত্যাগ করেছ।
▲ তৃতীয়: তোমরা কুরআন পাঠ করেছ কিন্তু তদনুযায়ী আমল করো নি।
▲ চতুর্থ: তোমরা আল্লাহর নিয়ামত খেয়েছ কিন্তু তার শুকরিয়া আদায় করো নি।

অন্তরের আমল: দ্বীনদারিঃ পরহেজগারি বা দ্বীনদারির গুরুত্ব ও ফজিলত:

অন্তরের আমল: দ্বীনদারি

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على نبينا محمد، وعلى آله وصحبه أجمعين.
যাবতীয় প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক। আর সালাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর, যিনি সমস্ত নবীগণের সেরা ও সর্বশ্রেষ্ঠ। আরও সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার পরিবার, পরিজন ও সাথী-সঙ্গীদের উপর।
অন্তরের আমলসমূহের অন্যতম আমল হল, পরহেজগারি ও দ্বীনদারি। পরহেজগারি ও দ্বীনদারি হল, দ্বীনের খুঁটিসমূহ তথা ভিত্তিসমূহের একটি অন্যতম ভিত্তি ও খুটি। তাকওয়া, পরহেজগারি ও আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর ভয় ছাড়া ঈমানদারি চলে না। মনে রাখতে হবে,
দ্বীনদারি মানবাত্মা ও অন্তরকে যাবতীয় নাপাকী-অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করে এবং বিভিন্ন ধরনের মানবিক ব্যাধি-হিংসা, বিদ্বেষ, পরশ্রিকাতরাতা ইত্যাদি হতে মুক্ত করে। পরহেজগারি ও দ্বীনদারি হল, ঈমানী বৃক্ষের ফল এবং ঈমানের সৌন্দর্য। দ্বীনদারি ছাড়া ঈমান, ফল ছাড়া বৃক্ষের মত। ঈমানের পরিপূর্ণতার জন্য দ্বীনদারি আবশ্যক। তবে

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : ঝগড়া-বিবাদঃ এক. ঝগড়া-বিবাদ বলতে আমরা কি বুঝি? দুই. আলেম ওলামারা কেন ঝগড়া-বিবাদকে অধিক ঘৃণা করেন? তিন. প্রসংশনীয় বিবাদ আর নিন্দনীয় বিবাদ কোনটি? উভয়টির উদাহরণ কি? চার. ঝগড়া বিবাদ করা কি মানুষের স্বভাবের সাথে জড়িত নাকি তা তার উপার্জন।?

অন্তর-বিধ্বংসী বিষয়সমূহ : ঝগড়া-বিবাদ

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على أشرف المرسلين، نبينا محمد، وعلى آله وأصحابه أجمعين.
ঝগড়া-বিবাদ এমন একটি কঠিন ব্যাধি ও মহা মুসিবত, যা মানুষের অন্তরকে করে কঠিন আর জীবনকে করে ক্ষতি ও হুমকির সম্মুখীন।
ওলামায়ে কেরামগণ এর ক্ষতির দিক বিবেচনার বিষয়টি সম্পর্কে উম্মতদের খুব সতর্ক করেন এবং এ নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করেন। এটি এমন একটি দুশ্চরিত্র যাকে সলফে সালেহীনরা খুব ঘৃণা করত এবং এ থেকে অনেক দূরে থাকত। আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. বলেন, একজন কুরআন ওয়ালা বা জ্ঞানীর জন্য যে ঝগড়া করে তার সাথে ঝগড়া করা অনুরূপভাবে কোন মূর্খের সাথে তর্ক করা কোন ক্রমেই উচিত নয়। তার জন্য উচিত হল, ঝগড়া- বিবাদ পরিহার করা। ইব্রাহিমে নখয়ী রহ. বলেন, সালফে সালেহীন ঝগড়া-বিবাদকে অধিক ঘৃণা করত।
তবে এ বিষয়ে প্রথমে আমাদের কয়েকটি বিষয় জানা অপরিহার্য।

অন্তর বিধ্বংসী বিষয়: দুনিয়ার মহব্বত

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على أشرف المرسلين، نبينا محمد، وعلى آله وأصحابه أجمعين.
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক। আর সালাত ও সালাম নাযিল হোক সমস্ত নবীগণের সেরা ও সর্ব শ্রেষ্ঠ নবী আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর। আরও সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার পরিবার, পরিজন ও সাথী-সঙ্গীদের উপর।
মনে রাখতে হবে, মানুষের অন্তর হল, তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রাজা আর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হল, তার অধীনস্থ প্রজা। যখন রাজা ঠিক হয়, তখন তার অধীনস্থ প্রজারাও ঠিক থাকে। আর যখন রাজা খারাপ হয়, তার অধীনস্থ প্রজারাও খারাপ হয়। নোমান ইবনে বাসির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

আসক্তি কি? আসক্তিকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে? আসক্তির পূজা করে নিষিদ্ধ বিষয়সমূহে জড়িত হওয়ার কারণগুলো কি? আসক্তির চিকিৎসা কি?,যখন কোন মানুষের অন্তরে শয়তান কু-মন্ত্রণা দেয়, এ ধরনের কু-মন্ত্রণা যখন মুসলিমের অন্তরে আসবে, তখন একজন মুসলিমের করণীয় কি?

আসক্তি কি? আসক্তিকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে? আসক্তির পূজা করে নিষিদ্ধ বিষয়সমূহে জড়িত হওয়ার কারণগুলো কি? আসক্তির চিকিৎসা কি?,যখন কোন মানুষের অন্তরে শয়তান কু-মন্ত্রণা দেয়, এ ধরনের কু-মন্ত্রণা যখন মুসলিমের অন্তরে আসবে, তখন একজন মুসলিমের করণীয় কি?

ভূমিকা
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على نبينا محمد، وعلى آله وصحبه أجمعين.
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি সমগ্র সৃষ্টিকুলের রব। আর সালাত ও সালাম নবীগণের সেরা ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর এবং তার পরিবার-পরিজন ও সাথী-সঙ্গীদের সকলের উপর।
মনে রাখতে হবে, আসক্তি ও আসক্তির আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলা বর্তমান যুগে প্রতিটি নর নারীর জন্য অতি জরুরি। কারণ, বর্তমানে আসক্তি-উত্তেজনা ও এর প্রভাব এতই বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আমাদের দেশ ও সমাজ এক অজানা গন্তব্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারপরও দেশ, জাতি ও সমাজকে পশুত্ব ও পাশবিকতার করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করার জন্য এ বিষয়ে জাতিকে সতর্ক করা ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানিয়ে দেয়া একান্ত জরুরী। পুস্তিকাটিতে আসক্তির বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। যেমন,
আসক্তি কি?
আসক্তিকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে?
আসক্তির পূজা করে নিষিদ্ধ বিষয়সমূহে জড়িত হওয়ার কারণগুলো কি?
আসক্তির চিকিৎসা কি? ইত্যাদি বিষয়গুলো এ কিতাবে আলোচনা করা হবে।

অন্তর বিধ্বংসী বিষয় : অহংকার , অহংকার কাকে বলে ? এবং অহংকারে পরিণতি কি?

অন্তর বিধ্বংসী বিষয় : অহংকার , অহংকার কাকে বলে ? এবং অহংকারে পরিণতি কি? 

অহংকার বা কিবিরের সংজ্ঞাঃ

কিবিরের আভিধানিক অর্থ:
আল্লামা ইবনে ফারেছ রহ. বলেন, কিবির অর্থ: বড়ত্ব, বড়াই, অহংকার ইত্যাদি। অনুরূপভাবে الكبرياء অর্থও বড়ত্ব, বড়াই, অহংকার। প্রবাদে আছে:
ورثوا المجد كابرًا عن كابر.
অর্থাৎ, ইজ্জত সম্মানের দিক দিয়ে যিনি বড়, তিনি তার মত সম্মানীদের থেকে সম্মানের উত্তরসূরি বা উত্তরাধিকারী হন।
আর আল্লামা ইবনু মানযূর উল্লেখ করেন, الكِبْر শব্দটিতে কাফটি যের বিশিষ্ট। এর অর্থ হল, বড়ত্ব, অহংকার ও দাম্ভিক।
আবার কেউ কেউ বলেন, তাকাব্বারা শব্দটি কিবির হতে নির্গত। আর تَكابَر من السن শব্দটি দ্বারা বার্ধক্য বুঝায়। আর তাকাব্বুর ও ইস্তেকবার শব্দটির অর্থ হল, বড়ত্ব, দাম্ভিক ও অহমিকা।[1]
ইসলামী পরিভাষায় কিবিরের সংজ্ঞা:

নিফাক বা মুনাফিকী কাকে বলে এবং পরিণতি কি?

 নিফাক বা মুনাফিকী কাকে বলে এবং পরিণতি কি?

নিফাকের সংজ্ঞা:
নিফাকের আভিধানিক অর্থ:
(نفق) নূন, ফা ও কাফ বর্ণগুলোর সমন্বয়ে গঠিত শব্দটি অভিধানে দুটি মৌলিক ও বিশুদ্ধে অর্থে ব্যবহার হয়। প্রথম অর্থ দ্বারা কোন কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া ও দূরীভূত হওয়াকে বুঝায় আর দ্বিতীয় অর্থ দ্বারা কোন কিছুকে গোপন করা ও আড়াল করাকে বুঝায়।
নিফাক শব্দটি ‘নাফাক’ শব্দ হতে নির্গত। ‘নাফাক’ অর্থ, জমির অভ্যন্তরে বা ভূ-গর্ভের গর্ত যে গর্তে লুকানো যায়, গোপন থাকা যায়। আর নিফাককে নিফাক বলে নাম রাখা হয়েছে, কারণ মুনাফিকরা তাদের অন্তরে কুফরকে লুকিয়ে রাখে বা গোপন করে।[1]
ইসলামি শরিয়তে নিফাকের অর্থ: নিজেকে ভালো বলে প্রকাশ করা আর অন্তরে খারাবী ও অন্যায়কে গোপন করা।
ইবনে জুরাইজ রহ. হতে বর্ণিত,

হজ্জ ও উমরা সফরে মৃত্যুবরণকারীদের মর্যাদা* প্রশ্ন: লোকমুখে বলতে শোনা যায় যে, “যারা হজ্ব বা উমরা করতে গিয়ে মারা যায় তারা জান্নাতি।” এ কথাটা কি সঠিক?

হজ্জ ও উমরা সফরে মৃত্যুবরণকারীদের মর্যাদা*
--------------------------
প্রশ্ন: লোকমুখে বলতে শোনা যায় যে, “যারা হজ্ব বা উমরা করতে গিয়ে মারা যায় তারা জান্নাতি।” এ কথাটা কি সঠিক?


উত্তর:
হজ্জ ও উমরা সফর নি:সন্দেহে বরকতপূর্ণ সফর। এ সফরে কেউ মৃত্যু বরণ করলে তার জন্য হাদীসে বিশেষ কতিপয় ফযিলত/মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ সংক্রান্ত হাদীসগুলো সহীহ নয়। নিম্নে এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা উপাস্থাপন করা হল:

🌀 ১) কেউ যদি দৃঢ়ভাবে হজ্জ/উমরা আদায়ের জন্য দৃঢ়ভাবে নিয়ত করে বা এই নিয়তে যাত্রা করে কিন্তু সে যদি হজ্জ বা উমরা আদায় করার পূর্বেই মৃত্যু বরণ করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে পূর্ণ হজ্জ ও উমরার পূর্ণ সওয়াব দান করবেন। কেননা, কোন ব্যক্তি যদি সৎ আমলের দৃঢ় নিয়ত করার পরে মারা গেলে আল্লাহ তাকে সে কাজটির পূর্ণ সওয়াব দান করেন। যেমন আল্লাহ বলেন:

Wednesday, August 22, 2018

জুম‘আ ও ঈদের খুৎবায় লাঠি ব্যবহার করা যাবে কি?

জুম‘আ ও ঈদের খুৎবায় লাঠি ব্যবহার করা যাবে কি?

-মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন, দুর্গাপুর, রাজশাহী।
উত্তর : যেকোন খুৎবায় বা বক্তব্যের সময় হাতে লাঠি নিয়ে বক্তব্য দেওয়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিয়মিত সুন্নাত। হাকাম ইবনে হুযন আল-কুলফী বলেন, ‘আমি সপ্তম অথবা অষ্টম দিনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট গেলাম। অতঃপর বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার সাথে সাক্ষাতের জন্য এসেছি। আপনি আমাদের কল্যাণের জন্য দো‘আ করুন। ... আমরা সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করলাম। অবশেষে আমরা একদিন তাঁর সাথে জুম‘আর ছালাতে যোগ দিলাম। তিনি লাঠির উপর ভর দিয়ে খুৎবায় দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা করে বললেন, ‘হে মানবমন্ডলী!

প্রশ্নঃ পা ছুঁয়ে সালাম করা যাবে? বিয়ের পরে অনেক শ্বশুর-শাশুরি পা ছুঁয়ে সালাম করার জন্য বাধ্য করে, কি করবো?

প্রশ্নঃ পা ছুঁয়ে সালাম করা যাবে? বিয়ের পরে অনেক শ্বশুর-শাশুরি পা ছুঁয়ে সালাম করার জন্য বাধ্য করে, কি করবো?
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
.
উত্তরঃ পা ছুঁয়ে সালাম করা, কদমবুসি করা বা পায়ে চুমু খাওয়া, পদধূলি নেওয়া - এই সবগুলো কাজ হচ্ছে মুশরেক জাতি হিন্দুদের অনুকরণে নিকৃষ্ট একটি বিদআ’ত। মূলত কবর মাযার পূজারী আর পীর পূজারীরা মুসলমানদের মাঝে এই কু-প্রথা ঢুকিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই বেদাতীরা কবর মাযার ও তাদের পীর বুজুর্গদেরকে সেজদাহ পর্যন্ত করে (নাউযুবিল্লাহ), সুতরাং পা ছুঁয়ে সালাম করা তাদের কাছে কোন ব্যপারই না।
.
আফসোস !

দুই ‘ঈদে যেসব ভুলসমূহ এবং খারাপ কাজগুলোর ব্যাপারে আমরা মুসলিমদের সতর্ক করবো সেগুলো কী কী? ঈদ এর সালাতের পরে কবর যিরারত করা এবং ‘ঈদের রাতে রাত জেগে ‘ইবাদত করার বিধান কি?

দুই ‘ঈদে যেসব ভুলসমূহ এবং খারাপ কাজগুলোর ব্যাপারে আমরা মুসলিমদের সতর্ক করবো সেগুলো কী কী? ঈদ এর সালাতের পরে কবর যিরারত করা এবং ‘ঈদের রাতে রাত জেগে ‘ইবাদত করার বিধান কি?
‘ঈদ ও তার আনন্দ সমাগত হওয়ার সাথে সাথে আমরা কিছু জিনিসের ব্যাপারে নির্দেশনা দিতে চাই যেগুলো মানুষ আল্লাহর শারী‘আতকে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহকে না জেনে করে থাকে। যেমন:
১- ‘ঈদের আগের রাত পুরোটাই ‘ইবাদতের মাধ্যমে উজ্জীবিত করা শারী‘আতসম্মত এরূপ বিশ্বাস পোষণ করা :
কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে, ‘ঈদের রাত ‘ইবাদতের মাধ্যমে উজ্জীবিত করা শারী‘আতসম্মত। এটি এক ধরণের নতুন প্রবর্তিত বিষয় (বিদ‘আত), যা কিনা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়। বরং এটি দ্বা‘ঈফ (দুর্বল) হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যাতে বলা আছে “যে ‘ঈদের রাতে জেগে থাকবে, তার হৃদয় কখনো মারা যাবে না যেদিন সব হৃদয় মারা যাবে।” এটি সহীহ হিসাবে প্রমাণিত হাদীস নয়। এটি বর্ণিত হয়েছে দুইটি ইসনাদের মাধ্যমে, যার একটি হল জাল বা বানোয়াট, আর অপরটি হল খুবই দুর্বল।
দেখুন-

ঈদের দিন এবং অন্যান্য দিনে নারীদের সুগন্ধি ও সাজগোজ করে পর্দা ছেড়ে বের হওয়ার বিধান কি?



ঈদের দিন এবং অন্যান্য দিনে নারীদের সুগন্ধি ও সাজগোজ করে পর্দা ছেড়ে বের হওয়া : এই সমস্যাটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারটিকে খুব হালকা ভাবে নেয়। (এ ব্যাপারে আমরা আল্লাহর সাহায্য কামনা করি।) কিছু নারী যখন তারা তারাউয়ীহ (তারাবীহ), ‘ঈদের সালাত আদায় অথবা অন্য জায়গায় বের হয় তখন তার সবচেয়ে সুন্দর পোশাকটি পরিধান করে এবং সবচেয়ে সুন্দর সুগন্ধি ব্যবহার করে- আল্লাহ তাদেরকে হিদায়াত করুন। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে এবং লোকজনের পাশ দিয়ে এমনভাবে যায় যাতে তারা তার সৌরভ পেতে পারে সে একজন ব্যভিচারিণী”।
[এটি বর্ণনা করেছেন আন-নাসা’ঈ (৫১২৬); আত-তিরমিযী (২৭৮৬); আল-আলবানী ‘সহীহ আল-তারগীব ওয়া আত-তারহীব’ (২০১৯) এ একে হাসান হিসেবে উল্লেখ করেছেন।]
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন:

নারীরা_কি_ঈদের_সালাতে_অংশ_গ্রহণ_করতে_পারবেন? ইসলাম_কী_বলে?

হ্যাঁ অবশ্যই নারীরা ঈদের সালাতে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদেরকে ঈদের সালাতে অংশ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
যেমনটি হাদীসে এসেছে, ‘হযরত উম্মে আতিয়্যাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন, আমরা যেন নারীদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতে সালাতের জন্য (ঘর থেকে) বের করে দেই, পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনীসহ সকলকেই। কিন্তু

রাসূল_সাল্লাল্লাহু_আলাইহি_ওয়াসাল্লামের_পক্ষ_থেকে_কোরবানী: কী_বলে_ইসলাম?

রাসূল সা. এর পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে কি যাবেনা এ নিয়ে ওলামায়ে কেরামের মাঝে তিনটি মত পাওয়া যায়।
#এক- একদল ওলামায়ে কেরাম মনে করেন, রাসূল সা.এর পক্ষ থেকে কুরবানী করা শুধু জায়েযই নয় বরং এটি উত্তম ও সৌভাগ্যের ব্যাপারও বটে। তাদের যুক্তি হল, রাসূল সা. যেহুতু উম্মতের পক্ষ থেকে কোরবানী করেছেন তাই উম্মত হিসাবে আমাদেরও উচিৎ তাঁর পক্ষ থেকে কোরবানী করা। দ্বিতীয়ত তারা তাদের মতের স্বপক্ষে একটি জঈফ হাদীসও দলিল হিসাবে উল্লেখ করে থাকেন সেটি হল-

কোরবানীর গোস্ত বন্ঠণের সঠিক নিয়ম কি? ৩ ভাগে ভাগ করা কি বাধ্যতামূলক ?

কোরবানীর গোস্ত বন্ঠণের সঠিক নিয়ম কি? ৩ ভাগে ভাগ করা কি বাধ্যতামূলক ? 
কোরবানির মাংস বন্ঠণের নিয়মঃ 

◉ কুরবানির গোশত কুরবানি দাতা নিজে খাবেন, ফকির-মিসকিনকে দান করবেন এবং আত্মীয়-স্বজনদের উপহার হিসেবে দিতে পারবেন।

(সূরা হজ্জ্ব: আয়াত ২৮;বুখারি: ৫৫৬৯)।

◉ কুরবানির গোশত যতদিন ইচ্ছা ততদিন
সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে।
(বুখারি: ৫৫৬৯)।

*কুরবানীর গোস্ত তিনভাগ করা মুস্তাহাব(উত্তম)।

আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন :

Monday, August 20, 2018

সুন্নাতে খাৎনা দেওয়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বয়স কত?

সুন্নাতে খাৎনা দেওয়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বয়স কত?
-যাকির, তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড়।
উত্তর : সুন্নাতে খাৎনা করার নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে সাবালক হওয়ার পূর্বে করাই উত্তম (নববী, আল-মাজমূ‘ ১/৩০৩)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, খাৎনা যখন ইচ্ছা করা যায়। তবে সাবালক হওয়ার পূর্বেই করা উচিৎ যেমনটি আরবরা করে থাকে... (আল-ফাতাওয়াল কুবরা ১/২৭৫)। ইবনুল মুনযির বলেন,
খাৎনা করার সময় সম্পর্কে এমন কোন সংবাদ নেই যার দিকে ফিরে যাওয়া যায় এবং এমন কোন সুন্নাত নেই যার উপর আমল করা যায় (আল-ইশরাফ ৩/৪২৪)।

উল্লেখ্য, রাসূল (ছাঃ) সপ্তম দিনে হাসান ও হোসাইন (রাঃ)-এর খাৎনা করেছিলেন মর্মে যে হাদীছ এবং সপ্তম দিনে খাৎনা করা সুন্নাত মর্মে যে আছার বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ

যে নামে আত্নপ্রশংসা হয়, সে নাম রাখা বৈধ নয়। তাহলে ‘ইয়াযুদ্দীন, মুহিউদ্দিন, নাসিরুদ্দিন ইত্যাদি নাম রাখা বৈধ কি?

 যে নামে আত্নপ্রশংসা হয়, সে নাম রাখা বৈধ নয়। তাহলে ‘ইয়াযুদ্দীন, মুহিউদ্দিন, নাসিরুদ্দিন ইত্যাদি নাম রাখা বৈধ কি?



না, উক্ত সকল নাম তথা ঐ শ্রেণীর কোন নাম রাখা বৈধ নয়, যাতে আত্নপ্রশংসা হয়। মহানবী (সঃ) এই শ্রেণীর নাম শুনলে তা পরিবর্তন করে দিতেন।

এ কথা কি ঠিক যে, যার নাম “মুহাম্মদ” এবং মরিয়ম হবে সে জান্নাতী হবে এবং তাঁকে গালি দেওয়া ও প্রহার করা যাবে না?

এ কথা কি ঠিক যে, যার নাম “মুহাম্মদ” হবে সে জান্নাতী হবে এবং তাঁকে গালি দেওয়া ও প্রহার করা যাবে না?
এ কথা আদৌ সঠিক নয়। কারো নাম বা বংশ তাঁকে সন্মান ও মুক্তি দিতে পারে না। আসলে উক্ত কথা নবী (সঃ)-এর নাম নিয়ে অতিরঞ্জন ও মনগড়া অত্যুক্তি ছাড়া কিছু নয়। ২৩
অনুরূপ এ কথাও মনগড়া যে, যে মেয়ের নাম ‘মার‍্য়্যাম’, ‘মারিয়াম’ বা ‘মরিয়ম’ হবে সে জাহান্নামে যাবে না। কারণ তা এক নবীর মায়ের নাম।
ফুটনোটঃ২৩ (ইবন বায)

কিয়ামতে প্রত্যেক সন্তানকে কি তাঁর মায়ের নাম জুড়ে ডাকা হবে নাকি পিতার নাম ধরে?

 কিয়ামতে প্রত্যেক সন্তানকে কি তাঁর মায়ের নাম জুড়ে ডাকা হবে নাকি পিতার নাম ধরে?


কিয়ামতে প্রত্যেক সন্তানকে কি তাঁর মায়ের নাম জুড়ে ডাকা হবে?
এ ব্যাপারে যে হাদিস বর্ণিত আছে, তা সহীহ নয়।৫১ সুতরাং সঠিক হল এই যে, ‘প্রত্যেক সন্তানকে তাঁর বাপের নাম জুড়েই ডাকা হবে।’ মহানবী (সঃ) বলেছেন, ‘কিয়ামতে তোমাদেরকে তোমাদের ও তোমাদের বাপের নাম ধরে ডাকা হবে।’ নবী (সঃ) আরও বলেছেন,

কারোর নিজের জন্য রাজাধিরাজ বা শাহেনশাহ উপাধি ধারণ করা্র বিধান কি?

কারোর নিজের জন্য রাজাধিরাজ উপাধি ধারণ করাও হারাম এবং কবীরা গুনাহ্।
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
أَغْيَظُ رَجُلٍ عَلَى اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَخْبَثُهُ وَأَغْيَظُهُ عَلَيْهِ رَجُلٌ كَانَ يُسَمَّى مَلِكَ الْأَمْلَاكِ، لَا مَلِكَ إِلاَّ اللهُ.
‘‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা‘আলা সর্ব বেশি রাগান্বিত হবেন সে ব্যক্তির উপর এবং সে তাঁর নিকট সর্বনিকৃষ্টও বটে যাকে একদা রাজাধিরাজ বলে ডাকা হতো। অথচ সত্যিকার রাজা একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলাই’’। (মুসলিম ২১৪৩; বাগাওয়ী ৩৩৭০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:

কাউকে খারাপ বা মন্দ নামে ডাকার বিধান কি?

কাউকে খারাপ কোন নামে ডাকা হারাম কাজ ও কবীরা গুনাহ্।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:
«وَلَا تَلْمِزُوْا أَنْفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوْا بِالْأَلْقَابِ، بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْإِيْمَانِ، وَمَنْ لَمْ يَتُبْ فَأُوْلَآئِكَ هُمُ الظَّالِمُوْنَ».
‘‘তোমরা অন্য কোন মুসলিম ভাইকে কোন কিছুর অপবাদ দিও না এবং কোন খারাপ নামেও ডেকো না। কারণ, কারোর জন্য ঈমান আনার পর ফাসিকী উপাধিটি খুবই নিকৃষ্ট। যারা উক্ত অপকর্ম থেকে তাওবা করবে না তারাই তো সত্যিকারার্থে যালিম’’। (’হুজুরাত : ১১)
কোন মানুষকে

মানুষকে ‘মাওলানা’ বলা যাবে কি না তার সমাধান:

মানুষকে ‘মাওলানা’ বলা যাবে কি না তার সমাধান:

‘মাওলা’ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃ প্রভু, মনিব, বন্ধু, সাহায্যকারী, অভিভাবক, মিত্র, আযাদকৃত দাস ইত্যাদি। ইমাম নভুভী বলেন, এই শব্দের ১৬টি অর্থ আছে। এই কারণে শব্দটি সালাফে সালেহীনের মধ্যে ব্যবহারের প্রচলন ছিল। যেমন দাসগণ তাদের মনিবদের উদ্দেশ্যে ‘মাওলা’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। রাসূলুল্লাহ সা. এক হাদীছে দাসকে নিষেধ করেছেন মনিবকে ‘মাওলায়া’ বা আমার প্রভূ বলতে। আবার আরেক রেয়াওয়াতে অনুমতি দিয়েছেন যে দাস তার মনিবকে বলবে ‘সাইয়্যেদী ও মাওলায়া’। (উভয় বর্ণনা সহীহ মুসলিমে আছে)
এখানে ‘মাওলা’ শব্দের শেষে ‘ইয়া’ সর্বনাম যোগ করলে একবচন বক্তা বুঝায়, আর ‘না’ সর্বনাম যোগ করলে বহুবচন বক্তা বুঝায়।

সন্তানের আকীকার গোস্ত কি মা-বাবা খেতে পারবে না?

সন্তানের আকীকার গোস্ত কি মা-বাবা খেতে পারবে না?

আকীকার গোস্ত বণ্টন নিয়ে কোথাও কোথাও বিভ্রান্তি দেখা যায়। অনেকের ধারণা, সন্তানের আকীকার গোস্ত  মা-বাবা খেতে পারবে না। বরং আশেপাশের ঘর-বাড়ি এবং গরীব-মিসকীনের মাঝে বিলিয়ে দিতে হবে।
এ ধারণা ঠিক নয়। আকীকার গোস্ত সন্তানের মা-বাবা,পরিবার পরিজন,আত্নীয় স্বজন,প্রতিবেশী বা মিসকীন যে কেউ খেতে পারবে।

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়ার পর তার জন্য করণীয় কি?

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়...