Monday, June 25, 2018

অবরোধ প্রথা কি ইসলামে স্বীকৃত?

অবরোধ প্রথা কি ইসলামে স্বীকৃত?


ইসলামে অবরোধ প্রথা নেই। ইসলামে আছে পর্দার বিধান। মহিলার কর্মস্থল মাঠে-ঘাটে, কল-কারখানায়, অফিস-ক্লাবে নয়। ইসলাম মহিলাকে বাড়িতে থাকতে নির্দেশ দেয়। কুরআন বলে, “তোমরা স্বগৃহে অবস্থান কর এবং (প্রাক ইসলাম) জাহেলী যুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়িয়ো না।” (আহযাবঃ ৩৩) হাদিস বলে, “তাদের ঘরই তাদের জন্য উত্তম।” ৫৩০ (আবূ দাঊদ ৫৭৬ নং)
তার মানে এই নয় যে,
তারা ঘরের ভিতরে অর্গলবদ্ধ ও অবরুদ্ধ থাকবে। বরং তারা প্রয়োজনে পর্দার সাথে বের হতে পারবে। তবে তারা (প্রাক ইসলাম) জাহেলী যুগের মত  নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াতে পারবে না। তাঁদেরকে মসজিদে যেতে বাঁধা দেওয়া যাবে না। তবে তারা সুগন্ধি বিলিয়ে বের হতে পারবে না। তারা প্রয়োজনে মাঠে ঘাটে ও বাজারে যেতে পারে। তবে ‘ছল করে জল আনতে যাওয়া’র মতো মামুলী প্রয়োজনে বাজারে বাজারে ফিরে বেড়াবে না।
মহিলা হেরেমের বন্দিনি নয়। যদিও কোন কোন পরিবেশে বাড়াবাড়ি করে তাকে বন্দিনী করে রাখা হয়। স্বামী স্ত্রী কর্তা বলে কোন কোন পুরুষ তার উপর অবৈধ কর্তৃত্ব করে।

বেগানা মহিলার উপর আচমকা দৃষ্টি পড়ে গেলে হাদীসে বলা হয়েছে, “তুমি তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও।” ৫৩২ (মুসলিম) মহিলাদের ক্ষেত্রেও কি একই নির্দেশ? তাঁরাও কি বেগানা পুরুষদের দিকে তাকাতে পারবে না?


হ্যাঁ, নির্দেশে সবাই সমান। মহান আল্লাহ বলেছেন, “বিশ্বাসী নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানে রক্ষা করে।”(নুরঃ ৩১)
তবে কামদৃষ্টি ছাড়া অন্য কোন বৈধ দৃষ্টিতে তাকান যাবে। মা আয়েশা (রঃ) হাবশীদের খেলা দেখেছেন। নবী (সঃ) তাকে আড়াল করে তা দেখিয়েছেন। ৫৩৩ (বুখারী ৯৫০, মুসলিম ৮৯২ নং) টিভি প্রভৃতির পর্দায় বা ছবিতে পুরুষ দেখার ক্ষেত্রেও একই বিধান। কামনজর নিয়ে তাকান যাবে না। ৫৩৪ (ইবনে উষাইমীন)

No comments:

Post a Comment

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়ার পর তার জন্য করণীয় কি?

প্রশ্ন: সুদী ব্যাংকে চাকুরী করার বিধান সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে যদি কেউ সারা জীবন সুদী ব্যাংকে চাকুরী করে তাহলে চাকুরী থেকে অব্যহতি নেয়...