কোরবানির মাংস বন্ঠণের নিয়মঃ
◉ কুরবানির গোশত কুরবানি দাতা নিজে খাবেন, ফকির-মিসকিনকে দান করবেন এবং আত্মীয়-স্বজনদের উপহার হিসেবে দিতে পারবেন।
(সূরা হজ্জ্ব: আয়াত ২৮;বুখারি: ৫৫৬৯)।
◉ কুরবানির গোশত যতদিন ইচ্ছা ততদিন
সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে।
(বুখারি: ৫৫৬৯)।
*কুরবানীর গোস্ত তিনভাগ করা মুস্তাহাব(উত্তম)।
আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন :
‘অত:পর তোমরা উহা হতে আহার কর এবং দু:স্থ, অভাবগ্রস্থকে আহার করাও।’
[সূরা হজ্ব-২৮]।
→দুৰ্দশাগ্ৰস্ত অভাবীকে আহার করানোর ব্যাপারে যা বলা হয়েছে তার অর্থ এ নয় যে, সচ্ছল বা ধনী ব্যক্তিকে আহার করানো যেতে পারে না। বন্ধু, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন অভাবী না হলেও তাদেরকে কুরবানীর গোশত দেওয়া জায়েয। এ বিষয়টি সাহাবায়ে কেরামের কার্যাবলী থেকে প্রমাণিত।
♦আলকামা বলেন,আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু আমার হাতে কুরবানীর পশু পাঠান এবং নির্দেশ দেন, কুরবানীর দিন একে যবোহ করবে, নিজে খাবে, মিসকীনদেরকে দেবে এবং আমার ভাইয়ের ঘরে পাঠাবে।
[আস-সুনানুল কুবরা লিল বাইহাকী: ১০২৩৮]
ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমাও একই কথা বলেছেন অর্থাৎ একটি অংশ খাও, একটি অংশ প্রতিবেশীদেরকে দাও এবং একটি অংশ মিসকীনদের মধ্যে বণ্টন করো।
[ইবন কাসীর]
♦আল্লাহ তাআলা বলেন:*
ﻛُﻠُﻮﺍ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻭَﺃَﻃْﻌِﻤُﻮﺍ ﺍﻟْﻘَﺎﻧِﻊَ ﻭَﺍﻟْﻤُﻌْﺘَﺮَّ ۚ
“তোমরা নিজেরা খাও, যারা অভাবী
কিন্তু কারও কাছে সাহায্য চায় না এবং যারা
অভাবী কিন্তু মানুষের কাছে সাহায্য চায়
তাদেকেও খাওয়াও।”
(হজ্জ ৩৬)।
♥রাসূলুল্লাহ স. কোরবানির গোশত সম্পর্কে বলেছেন :‘তোমরা নিজেরা খাও ও অন্যকে আহার করাও এবং সংরক্ষণ কর।"
[বোখারি-৫৫৬৯]
‘আহার করাও’ বাক্য দ্বারা অভাবগ্রস্থকে দান করা ও ধনীদের উপহার হিসেবে দেয়াকে বুঝায়। অরথাত কোরআনের আয়াত ও হাদিসে ৩টি ভাগের কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে,পরিমান নিদির্ষ্ট করা হয়নি।
রাসুলুল্লাহ (সা) হতে ১/৩ পরিমান নিদির্ষ্ট করার কোন স্পস্ট আমল পাওয়া যায় না ।
রসুল সা: এর আমল ছিল তিনি প্রত্যেক কুরবানির পশু হতে কিছু কিছু করে নিয়ে রান্না করতেন, বাকীটা পুরোটাই দান ও বিতরন করে দিতেন।
তবে ;
আব্দুল্লাহ বিন অমর( রাঃ)হতে একটি আছার (বক্তব্য)পাওয়া যায়- কোরবানির পশু বা হাদি হতে ১/৩ তোমার পরিবারের জন্য, ১/৩ তোমার আত্নীয়-প্রতিবেশীর জন্য, ১/৩ গরিব মিস্কিনের জন্য।তাহলে সাহাবাদের আমল থেকে পরিমান নিদির্ষ্ট করার প্রমান পাওয়া যায়।
-যদি পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হয় বা তার চেয়ে অভাবি আশে পাশে আর কেঊ নেই তাহলে যদি পুরোটাই নিজেরা খায়,সেটাও জায়েজ।
তার চেয়ে সচ্ছলদেরকে বিতরন করতে হবে,এটা জরুরি নয়। তবে এখলাস থাকতে হবে,নিয়ত শুদ্ধ হতে হবে।এই কোরবানি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য হতে হবে।
-অথবা কোন অংশই খেল না পুরোটাই দান করে দিল-এটাও জায়েজ।
-তাই উলামায়ে কেরাম বলেছেন :
এটা আল্লাহর অনুগ্রহ - কোরবানির মাংস পুরোটাই নিজেরা খাওয়া যাবে, দরিদ্রদের দান করা যাবে বা পুরোটা উপহার হিসেবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের বিতরন করা যাবে।
*রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
ﻛُﻠُﻮﺍ ، ﻭ ﺍﺩَّﺧِﺮﻭﺍ ، ﻭ ﺗَﺼَﺪَّﻗُﻮﺍ .
“তোমরা (কুরবানীর গোস্ত) খাও,জমা রাখ ও সদকা কর।”
(সহীহ আবুদাউদ- আলবানী)।
★এছাড়া ইমাম আহমাদ, শাফেঈ (রহঃ) সহ বহু
বিদ্বান কুরবানীর গোশত তিনভাগ
করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।
(সুবুলুস সালাম শরহ বুলূগুল মারাম ৪/১৮৮ পৃঃ)।
*তবে সমান তিনভাগে ভাগ করতে হবে তা আবশ্যক নয়। প্রয়োজনে কমবেশী করা যায়। পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে বেশিরভাগ
গোস্ত তাদের জন্য রেখে দেয়া হলেও কোন আপত্তি নাই।*
*কিন্তু গোস্ত মোটেও দান না করে পুরাটা খেয়ে ফেলা উচিৎ নয়। কারণ, গরিব-দু:খিরাও যেন ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে, তারাও যেন
ইসলামের এই মহান উৎসবের দিনে আনন্দের সাথে একটু ভালো খাওয়া- দাওয়া করতে পারে সে জন্য এই বণ্টণ ব্যবস্থা।*
সুতরাং তাদেরকে বঞ্চিত করা সঙ্গত নয়।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
আমীন।
*-শাইখ আব্দুল্লাহ হিল হাদী
তার চেয়ে সচ্ছলদেরকে বিতরন করতে হবে,এটা জরুরি নয়। তবে এখলাস থাকতে হবে,নিয়ত শুদ্ধ হতে হবে।এই কোরবানি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য হতে হবে।
-অথবা কোন অংশই খেল না পুরোটাই দান করে দিল-এটাও জায়েজ।
-তাই উলামায়ে কেরাম বলেছেন :
এটা আল্লাহর অনুগ্রহ - কোরবানির মাংস পুরোটাই নিজেরা খাওয়া যাবে, দরিদ্রদের দান করা যাবে বা পুরোটা উপহার হিসেবে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের বিতরন করা যাবে।
*রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
ﻛُﻠُﻮﺍ ، ﻭ ﺍﺩَّﺧِﺮﻭﺍ ، ﻭ ﺗَﺼَﺪَّﻗُﻮﺍ .
“তোমরা (কুরবানীর গোস্ত) খাও,জমা রাখ ও সদকা কর।”
(সহীহ আবুদাউদ- আলবানী)।
★এছাড়া ইমাম আহমাদ, শাফেঈ (রহঃ) সহ বহু
বিদ্বান কুরবানীর গোশত তিনভাগ
করাকে মুস্তাহাব বলেছেন।
(সুবুলুস সালাম শরহ বুলূগুল মারাম ৪/১৮৮ পৃঃ)।
*তবে সমান তিনভাগে ভাগ করতে হবে তা আবশ্যক নয়। প্রয়োজনে কমবেশী করা যায়। পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি হলে বেশিরভাগ
গোস্ত তাদের জন্য রেখে দেয়া হলেও কোন আপত্তি নাই।*
*কিন্তু গোস্ত মোটেও দান না করে পুরাটা খেয়ে ফেলা উচিৎ নয়। কারণ, গরিব-দু:খিরাও যেন ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে, তারাও যেন
ইসলামের এই মহান উৎসবের দিনে আনন্দের সাথে একটু ভালো খাওয়া- দাওয়া করতে পারে সে জন্য এই বণ্টণ ব্যবস্থা।*
সুতরাং তাদেরকে বঞ্চিত করা সঙ্গত নয়।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন।
আমীন।
*-শাইখ আব্দুল্লাহ হিল হাদী
No comments:
Post a Comment