নামের শেষে অনেকে জিহাদী, ইউসুফী, ফারুকী, ছিদ্দীক্বী, আনছারী, কুরায়শী যুক্ত করেন, যা তার মূল নামের অংশ নয়। বিষয়টি কতটুকু শরী‘আতসম্মত?
-আমজাদ হোসাইন, কাটাখালী, পাবনা।
উত্তর : পরবর্তীতে এরূপ পদবী না রাখা উচিৎ।
কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। তোমাদের মধ্যে কে
সর্বাধিক নেক আমলকারী সে সম্পর্কে আল্লাহই সম্যক অবগত (মুসলিম হা/২১৪২; মিশকাত হা/৪৭৫৬)।
তবে জন্মের পর পিতা-মাতা যদি এরূপ নাম রাখেন, তাহ’লে তাতে কোন দোষ নেই।
আক্বীক্বার সময় শিশু সন্তানের নাম ঐরূপ রাখা তার জন্য আত্মপ্রশংসা নয়। বরং
পিতা ও অভিভাবকদের পক্ষ হ’তে তার জন্য শুভ কামনা বা দো‘আ স্বরূপ। যেমন
রাসূল (ছাঃ)-এর নাম তাঁর দাদা রেখেছিলেন ‘মুহাম্মাদ’ ও মা রেখেছিলেন
‘আহমাদ’ (প্রশংসিত)। অনুরূপ
মুসলিম নেতারা কাউকে তার কাজের কারণে এরূপ পদবী দিলে
তাতে কোন বাধা নেই। যেমন রাসূল (ছাঃ) আবুবকর (রাঃ)-কে ‘ছিদ্দীক’ ও ওমর
(রাঃ)-কে ‘ফারূক’ উপাধি প্রদান করেছিলেন (হাকেম হা/৪৪০৭; ছহীহাহ হা/৩০৬; তাফসীরে কুরতুবী ৫/২৬৪)।
অনুরূপভাবে রাসূল (ছাঃ) মুতার যুদ্ধবিজয়ী সেনাপতি খালেদকে দো‘আ করে
অশ্রুসজল নেত্রে বলেছিলেন, এবারে ঝান্ডা হাতে নিয়েছে ‘আল্লাহর তরবারি
সমূহের অন্যতম ‘তরবারী’ (বুখারী হা/৪২৬২)। অর্থাৎ
খালেদ নিজে ‘সায়ফুল্লাহ’ নাম গ্রহণ করেননি, বরং রাসূল (ছাঃ) তাকে ঐ লকব
দিয়েছিলেন। রাসূল (ছাঃ)-এর নিজের ছেলে আব্দুল্লাহর লকব ছিল ত্বাইয়িব ও
ত্বাহির (পবিত্র)। অতএব পিতা-মাতা তার সন্তানের জন্য দো‘আ হিসাবে উক্ত
গুণবাচক নাম সমূহ রাখতে পারেন। তবে তা যেন অহংকার প্রকাশক না হয়।
No comments:
Post a Comment