হাদীছে এরশাদ হয়েছে মানুষ মৃত্যু বরণ করলে তিনটি আমল ছাড়া সব আমল বন্ধ হয়ে যায়।
১) সাদকায়ে জারিয়া
২) ইসলামী জ্ঞান, উপকারী বিদ্যা লিপিবদ্ধ করে যাওয়া
৩) সৎ সন্তানদের দু’আ।
২) ইসলামী জ্ঞান, উপকারী বিদ্যা লিপিবদ্ধ করে যাওয়া
৩) সৎ সন্তানদের দু’আ।
এ হাদীছের বাহ্যিক অর্থে বুঝা যায়, জীবিত অবস্থায় ব্যক্তির দানকেই সাদকা জারিয়া বলা হয়। মৃত্যুর পর তার সন্তানদের দানকে নয়। কেননা মৃত্যুর পর সন্তানদের থেকে যা হবে তা রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বর্ণনা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অথবা সৎ সন্তান যে তার জন্য দু’আ করবে।
অতএব কোন ব্যক্তি যদি মৃত্যুর পূর্বে কিছু দান করার অসীয়ত করে যায় অথবা ওয়াক্্ফ্ করে যায়, তবে তা সাদকা জারিয়া হিসাবে গণ্য হবে। মৃত্যুর পর কবরে সে তা থেকে উপকৃত হবে। অনুরূপভাবে ইসলামী জ্ঞান, তার উপার্জন থেকে হতে হবে। এমনি ভাবে সন্তান, যদি পিতার জন্য দু’আ করে।
এ জন্য কেউ যদি প্রশ্ন করে আমি কি পিতার জন্য দু’রাকাত নামায পড়ব? নাকি নিজের জন্য দু’রাকাত নামায আদায় করে এর মধ্যে পিতার জন্য দু’আ করব? আমি বলব: উত্তম হচ্ছে নিজের জন্য দু’রাকাত নামায আদায় করবেন এবং এর মধ্যে পিতার জন্য দু’আ করবেন।
কেননা এ দিকেই নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, অথবা ‘সৎ সন্তান’ যে তার জন্য দু’আ করবে, এরূপ বলেন নি যে তার জন্য নামায আদায় করবে বা অন্য কোন নেক আমল করবে।
No comments:
Post a Comment